আসসালামু আলাইকুম সবাইকে। আজকে আমি আলোচনা করবো কি কি পদ্ধতির মাধ্যমে
আপনি আপনার পিসির ইন্টারনেট শেয়ার করে ওয়াইফাই ডিভাইস গুলুতে ব্যাবহার
করতে পারবেন।
বর্তমানে আমাদের সকলের বাড়িতেই একটির অধিক ওয়্যারলেস ডিভাইস থাকে, যা দিয়ে আমরা ওয়াইফাই টেকনোলোজি ব্যাবহার করে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হতে পারি। প্রায় আমাদের সকলের বাসায় ডেস্কটপ অথবা ল্যাপটপ কম্পিউটার থেকে থাকে এবং এতে আমরা ইন্টারনেট সংযোগ ব্যাবহার করে থাকি। স্মার্টফোনের ব্যাবহার দিন দিন বেরেই যাচ্ছে আর এর অন্যতম একটি সুবিধা হলো ওয়াইফাই এ কানেক্ট করা যায়, আমরা জানি যে ইন্টারনেট ছাড়া স্মার্টফোনকে আসলে স্মার্ট বলা কষ্টকর, কারন ইন্টারনেট ছারা আপনি এর অনেক ফিচার উপভোগ করতে পারবেননা। এটা আমরা জানি বলেই আমরা মোবাইলে ইন্টারনেট প্যাকেজ কিনে থাকি।
এতে আমাদের অনেক খরচ হয় আর স্পিডতো নেই বললেই চলে।
কিন্তু আপনার যদি একটি ল্যাপটপ থাকে অতি সহজেই আপনার ল্যাপটপের ইন্টারনেট কানেকশন শেয়ার করে আপনি আপনার ওয়াইফাই এনাবল ডিভাইস দিয়ে ইন্টারনেট ব্যাবহার করতে পারবেন। এটি করার জন্য আপনাকে একটি সফটওয়্যার এর সাহায্য নিতে হবে। আপনি যদি ওয়াইম্যক্স কিংবা ল্যান কানেকশন ব্যাবহার করে থাকেন তাহলে আপনি কানেক্টিফাই মি নামের সফটওয়ারটির ফ্রি ভার্সন দিয়ে শেয়ারিং করতে পারবেন। কানেক্টিফাই মি লিখে গুগুল এ সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। এছারাও আরো অনেক এমন সফটওয়্যার আছে যা এই কাজ করে থাকে।
সমস্যাঃ
কিন্তু ডায়াল আপ কানেকশন, ২জি, ৩জি মডেম আপনি কানেক্টিফাইয়ের ফ্রি ভার্সন এ শেয়ার করে পারবেননা।
কি ডেস্কটপ ইউজারদের মন খারাপ হচ্ছে নিশ্চয়ই? যে আপনারতো ল্যাপটপ এর মত ওয়াইফাই নেই, তাহলে কি আপনি আপনার বর্তমান ইন্টারনেট কানেকশন শেয়ার করে আপনার প্রিয় ডিভাইসটিতে ইন্টারনেট ব্যাবহার করতে পারবেননা? মন খারাপের কিছু নেই, আপনিও ল্যাপটপ ইউজারদের মত ওয়াফাই নেটওয়ার্ক এ কানেক্ট করতে পারবেন শেয়ারিংও করতে পারবেন। কিন্তু এর জন্য কিছু টাকা খরচ করতে হবে, ল্যাপটপ এ বিল্টইন ওয়্যারলেস ল্যান কার্ড থাকে যা ডেস্কটপ এ থাকেনা। কিন্তু এক্সটারনাল ওয়্যারলেস ল্যান কার্ড কিনতে পাওয়া যায়। ব্রান্ড ভেদে দামে তারতম্য রয়েছে, আপনি প্রায় ১০০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে ভালো মানের ওয়্যারলেস ল্যান কার্ড কিনতে পারবেন। ব্রান্ডের মধ্যে আপনি নেটগিয়ার, টিপি লিংক, বেল্কিন, টেন্ডা কিনতে পারবেন।
আপনি দুই ধরনের ওয়্যারলেস ল্যান কার্ড পাবেন, ইউএসবি অথবা পিসিআই/পিসিআই এক্সপ্রেস এই দুই ধরনের পোর্ট এ।
এখন কিনে ফেলেবেন বলে মন স্থির করে ফেললেন, কিন্তু কেনার পর শেয়ার কিভাবে করবেন তা নিয়ে চিন্তিত? চিন্তা করা কিছু নেই এখন একটি ল্যাপটপের মত করেই আপনি আপনার ডেস্কটপের ইন্টারনেট শেয়ার করতে পারবেন।
পরামর্শঃ
ওয়্যারলেস ল্যান কার্ড কেনার সময় যদি একাধিক পিসিতে আপনি এডাপ্টারটি ইউস করতে না চান তাহলে পিসিআই/পিসিআই এক্সপ্রেস এডাপ্টার কিনবেন, কারন এটি সরাসরি মাদারবোর্ড এর সাথে সংযুক্ত থাকে। এতে আপনি সাপোর্ট ভালো পাবেন।
এভাবে ডেস্কটপ ও ল্যাপটপ এ শেয়ারিং এর সুবিধাঃ
১. কম খরচে আপনি সহজে আপনার বর্তমান ইন্টারনেট কানেকশন শেয়ার করতে পারবেন, ল্যাপটপ এর জন্য একেবারেই ফ্রি বলতে গেলে।
২. ঝামেলা কম।
৩. কম সময় ধরে শেয়ারিং এর জন্য অনেক সুবিধার।
এভাবে ডেস্কটপ ও ল্যাপটপ এ শেয়ারিং এর অসুবিধাঃ
১. সবচেয়ে বড় অসুবিধা হল ননস্টপ আপনাকে কম্পিউটার চালু করে রাখতে হবে।
২. ২জি, ৩জি, ডায়াল আপ কানেকশন শেয়ার করতে পেইড ভারশন লাগে কানেক্টিফাই মি এর।
৩. ওয়াইফাই এর রেঞ্জ কম।
আপনি যদি মনে করেন আপনি অল্প সময়ের জন্য ওয়াইফাই ব্যাবহার করবেন তাহলে উপরের পদ্ধতি আপনার জন্য। কিন্তু আপনি যদি ননস্টপ ওয়াইফাই কানেকশন চান রেঞ্জ ভালো চান সেক্ষেত্রে আপনাকে একটি ওয়্যারলেস রাউটার কিনতে হবে। কিন্তু রাউটার কেনার জন্য অবশ্যই আপনার ব্রডব্যান্ড কানেকশন অথবা ৩জি মডেম থাকতে হবে।
রাউটার ব্যাবহার করলে আপনাকে পিসি সারাক্ষন চালু করে রাখতে হবেনা, এতে একদিকে আপনার পিসি এর উপর চাপ কমবে, অন্যদিকে আপনার বিদ্যুৎ বিল কম আসবে।
এখন কথা হলো রাওউটারতো কিনবেন বলে ঠিক করলেন, কিন্তু কিভাবে বুঝবেন আপনার কোনটা দরকার?
রাউটার এর রেঞ্জ নির্ভর করে আপনি এটিকে কোথায় রাখছেন এ্রর উপর। কারন দেয়ালের প্রতি এটি খুবই সংবেদনশীল। আপনার বাসা যত খোলামেলা হবে দেয়াল কম থাকে রেঞ্জ তত ভালো পাবেন। ২টা ৩টা ডিভাইসের জন্য এবং মধ্যম সাইজের বাসার জন্য ১৫০ এমবিপিএস এর রাওটারই যথেষ্ট। কিন্তু বড় বাসা হলে অবশ্যই ৩০০ এমবিপিএস কেনার চেষ্টা করবেন।
ব্রান্ড ভেদে দামে তারতম্য রয়েছে, আপনি প্রায় ১৫০০ থেকে ১২০০০ টাকার মধ্যে ভালো মানের ওয়্যারলেস রাউটার কিনতে পারবেন। ব্রান্ডের মধ্যে আপনি নেটগিয়ার, টিপি লিংক, বেল্কিন, টেন্ডা, ডি লিংক কিনতে পারবেন। তবে বেল্কিন এবং নেটগিয়ার এর পর, বাজেটের মধ্যে টিপি লিংক ও টেন্ডা দেখতে পারেন।
রাউটারের সুবিধাঃ
১. ননস্টপ ওয়াইফাই সুবিধা
২. সর্বনিম্ন ৪টি ল্যান পোর্ট ডেক্সটপ পিসি এর জন্য
৩. একবার কনফিগার করলে আর কোন ঝামেলা নেই
৪. আপনি চাইলে নির্দিষ্ট ওয়েবপেজ ব্লক করে রাখতে পারবেন
৫. এছারা আরো অনেক সুবিধা আছে।
রাউটারের অসুবিধাঃ
১. কনফিগার করা ঝামেলার অনেকের ক্ষেত্রে
২. ব্রডব্যান্ড কানেকশন অথবা ৩জি মডেম থাকতে হবে।
এখন আপনি জানলেন কিভাবে আপনি আপনার পিসির ইন্টারনেট কানেকশন শেয়ার করে ওয়াইফাই এর মাধ্যমে অন্য কোন ওয়াফাই এনাবল ডিভাইসে ব্যাবহার করতে পারেন। আপনার প্রয়োজন অনুসারে পদ্ধতি বেছে নিন আর কমিয়ে ফেলুন বাড়তি খরচ।
ধন্যবাদ সবাইকে। ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
বর্তমানে আমাদের সকলের বাড়িতেই একটির অধিক ওয়্যারলেস ডিভাইস থাকে, যা দিয়ে আমরা ওয়াইফাই টেকনোলোজি ব্যাবহার করে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হতে পারি। প্রায় আমাদের সকলের বাসায় ডেস্কটপ অথবা ল্যাপটপ কম্পিউটার থেকে থাকে এবং এতে আমরা ইন্টারনেট সংযোগ ব্যাবহার করে থাকি। স্মার্টফোনের ব্যাবহার দিন দিন বেরেই যাচ্ছে আর এর অন্যতম একটি সুবিধা হলো ওয়াইফাই এ কানেক্ট করা যায়, আমরা জানি যে ইন্টারনেট ছাড়া স্মার্টফোনকে আসলে স্মার্ট বলা কষ্টকর, কারন ইন্টারনেট ছারা আপনি এর অনেক ফিচার উপভোগ করতে পারবেননা। এটা আমরা জানি বলেই আমরা মোবাইলে ইন্টারনেট প্যাকেজ কিনে থাকি।
এতে আমাদের অনেক খরচ হয় আর স্পিডতো নেই বললেই চলে।
কিন্তু আপনার যদি একটি ল্যাপটপ থাকে অতি সহজেই আপনার ল্যাপটপের ইন্টারনেট কানেকশন শেয়ার করে আপনি আপনার ওয়াইফাই এনাবল ডিভাইস দিয়ে ইন্টারনেট ব্যাবহার করতে পারবেন। এটি করার জন্য আপনাকে একটি সফটওয়্যার এর সাহায্য নিতে হবে। আপনি যদি ওয়াইম্যক্স কিংবা ল্যান কানেকশন ব্যাবহার করে থাকেন তাহলে আপনি কানেক্টিফাই মি নামের সফটওয়ারটির ফ্রি ভার্সন দিয়ে শেয়ারিং করতে পারবেন। কানেক্টিফাই মি লিখে গুগুল এ সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। এছারাও আরো অনেক এমন সফটওয়্যার আছে যা এই কাজ করে থাকে।
সমস্যাঃ
কিন্তু ডায়াল আপ কানেকশন, ২জি, ৩জি মডেম আপনি কানেক্টিফাইয়ের ফ্রি ভার্সন এ শেয়ার করে পারবেননা।
কি ডেস্কটপ ইউজারদের মন খারাপ হচ্ছে নিশ্চয়ই? যে আপনারতো ল্যাপটপ এর মত ওয়াইফাই নেই, তাহলে কি আপনি আপনার বর্তমান ইন্টারনেট কানেকশন শেয়ার করে আপনার প্রিয় ডিভাইসটিতে ইন্টারনেট ব্যাবহার করতে পারবেননা? মন খারাপের কিছু নেই, আপনিও ল্যাপটপ ইউজারদের মত ওয়াফাই নেটওয়ার্ক এ কানেক্ট করতে পারবেন শেয়ারিংও করতে পারবেন। কিন্তু এর জন্য কিছু টাকা খরচ করতে হবে, ল্যাপটপ এ বিল্টইন ওয়্যারলেস ল্যান কার্ড থাকে যা ডেস্কটপ এ থাকেনা। কিন্তু এক্সটারনাল ওয়্যারলেস ল্যান কার্ড কিনতে পাওয়া যায়। ব্রান্ড ভেদে দামে তারতম্য রয়েছে, আপনি প্রায় ১০০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে ভালো মানের ওয়্যারলেস ল্যান কার্ড কিনতে পারবেন। ব্রান্ডের মধ্যে আপনি নেটগিয়ার, টিপি লিংক, বেল্কিন, টেন্ডা কিনতে পারবেন।
আপনি দুই ধরনের ওয়্যারলেস ল্যান কার্ড পাবেন, ইউএসবি অথবা পিসিআই/পিসিআই এক্সপ্রেস এই দুই ধরনের পোর্ট এ।
এখন কিনে ফেলেবেন বলে মন স্থির করে ফেললেন, কিন্তু কেনার পর শেয়ার কিভাবে করবেন তা নিয়ে চিন্তিত? চিন্তা করা কিছু নেই এখন একটি ল্যাপটপের মত করেই আপনি আপনার ডেস্কটপের ইন্টারনেট শেয়ার করতে পারবেন।
পরামর্শঃ
ওয়্যারলেস ল্যান কার্ড কেনার সময় যদি একাধিক পিসিতে আপনি এডাপ্টারটি ইউস করতে না চান তাহলে পিসিআই/পিসিআই এক্সপ্রেস এডাপ্টার কিনবেন, কারন এটি সরাসরি মাদারবোর্ড এর সাথে সংযুক্ত থাকে। এতে আপনি সাপোর্ট ভালো পাবেন।
এভাবে ডেস্কটপ ও ল্যাপটপ এ শেয়ারিং এর সুবিধাঃ
১. কম খরচে আপনি সহজে আপনার বর্তমান ইন্টারনেট কানেকশন শেয়ার করতে পারবেন, ল্যাপটপ এর জন্য একেবারেই ফ্রি বলতে গেলে।
২. ঝামেলা কম।
৩. কম সময় ধরে শেয়ারিং এর জন্য অনেক সুবিধার।
এভাবে ডেস্কটপ ও ল্যাপটপ এ শেয়ারিং এর অসুবিধাঃ
১. সবচেয়ে বড় অসুবিধা হল ননস্টপ আপনাকে কম্পিউটার চালু করে রাখতে হবে।
২. ২জি, ৩জি, ডায়াল আপ কানেকশন শেয়ার করতে পেইড ভারশন লাগে কানেক্টিফাই মি এর।
৩. ওয়াইফাই এর রেঞ্জ কম।
আপনি যদি মনে করেন আপনি অল্প সময়ের জন্য ওয়াইফাই ব্যাবহার করবেন তাহলে উপরের পদ্ধতি আপনার জন্য। কিন্তু আপনি যদি ননস্টপ ওয়াইফাই কানেকশন চান রেঞ্জ ভালো চান সেক্ষেত্রে আপনাকে একটি ওয়্যারলেস রাউটার কিনতে হবে। কিন্তু রাউটার কেনার জন্য অবশ্যই আপনার ব্রডব্যান্ড কানেকশন অথবা ৩জি মডেম থাকতে হবে।
রাউটার ব্যাবহার করলে আপনাকে পিসি সারাক্ষন চালু করে রাখতে হবেনা, এতে একদিকে আপনার পিসি এর উপর চাপ কমবে, অন্যদিকে আপনার বিদ্যুৎ বিল কম আসবে।
এখন কথা হলো রাওউটারতো কিনবেন বলে ঠিক করলেন, কিন্তু কিভাবে বুঝবেন আপনার কোনটা দরকার?
রাউটার এর রেঞ্জ নির্ভর করে আপনি এটিকে কোথায় রাখছেন এ্রর উপর। কারন দেয়ালের প্রতি এটি খুবই সংবেদনশীল। আপনার বাসা যত খোলামেলা হবে দেয়াল কম থাকে রেঞ্জ তত ভালো পাবেন। ২টা ৩টা ডিভাইসের জন্য এবং মধ্যম সাইজের বাসার জন্য ১৫০ এমবিপিএস এর রাওটারই যথেষ্ট। কিন্তু বড় বাসা হলে অবশ্যই ৩০০ এমবিপিএস কেনার চেষ্টা করবেন।
ব্রান্ড ভেদে দামে তারতম্য রয়েছে, আপনি প্রায় ১৫০০ থেকে ১২০০০ টাকার মধ্যে ভালো মানের ওয়্যারলেস রাউটার কিনতে পারবেন। ব্রান্ডের মধ্যে আপনি নেটগিয়ার, টিপি লিংক, বেল্কিন, টেন্ডা, ডি লিংক কিনতে পারবেন। তবে বেল্কিন এবং নেটগিয়ার এর পর, বাজেটের মধ্যে টিপি লিংক ও টেন্ডা দেখতে পারেন।
রাউটারের সুবিধাঃ
১. ননস্টপ ওয়াইফাই সুবিধা
২. সর্বনিম্ন ৪টি ল্যান পোর্ট ডেক্সটপ পিসি এর জন্য
৩. একবার কনফিগার করলে আর কোন ঝামেলা নেই
৪. আপনি চাইলে নির্দিষ্ট ওয়েবপেজ ব্লক করে রাখতে পারবেন
৫. এছারা আরো অনেক সুবিধা আছে।
রাউটারের অসুবিধাঃ
১. কনফিগার করা ঝামেলার অনেকের ক্ষেত্রে
২. ব্রডব্যান্ড কানেকশন অথবা ৩জি মডেম থাকতে হবে।
এখন আপনি জানলেন কিভাবে আপনি আপনার পিসির ইন্টারনেট কানেকশন শেয়ার করে ওয়াইফাই এর মাধ্যমে অন্য কোন ওয়াফাই এনাবল ডিভাইসে ব্যাবহার করতে পারেন। আপনার প্রয়োজন অনুসারে পদ্ধতি বেছে নিন আর কমিয়ে ফেলুন বাড়তি খরচ।
ধন্যবাদ সবাইকে। ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
No comments:
Post a Comment